• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

সাগরে ফিসিং ট্রলারে ডাকাতি, ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯  

বঙ্গোপসাগরে এফবি রিসান-১ নামে একটি ফিসিং ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় জলদস্যু বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের মারধর করে ৬ জেলেকে সাগরে নিক্ষেপ করে এবং নগদ লক্ষাধিক টাকাসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার জাল,মাছ, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল  লুট করে নিয়েছে। আহত ১৪ জেলে শরণখোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।  
       দস্যুদের মারধরে আহত জেলেরা হলেন, ট্রলারের মিস্ত্রি আজিজুল, মাঝি নুর ইসলাম, জেলে ইমাম হোসেন, নিয়ামুল, রাজ্জাক, শামীম, মাসুম হাওলাদার, আজিজ, রফিক শেখ, সাহেব আলী, রব, বাচ্চু, মাসুম ও আনোয়ার হোসেন। এদের বাড়ি বাগেরহাট, ভোলা ও শরণখোলার বিভিন্ন এলাকায়।
      বৃহস্পতিবার বিকালে শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে  ফিরে আসা এফবি রিসান-১ ট্রলারের মালিক মৎস্য ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের জাহাজখাড়ী এলাকায় মাছ ধরার সময় ১৫-১৬ জনের একটি দস্যুদল নামবিহীন একটি ফিসিং বোটে এসে তার ফিশিং ট্রলারে হানা দেয়। দস্যুরা বোটে উঠেই জেলেদের মারধর শুরু করে। একপর্যায় দসা্যুরা বোটের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ এক লাখ টাকা, আহরিত তিন হাজার ইলিশ মাছ, ৪০ পিচ জাল, দুইটি জেনারেটর, দুইটি ব্যাটারী, ১৪টি মোবাইল সেট, ট্রলারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। দস্যুরা এ সময় তাদের ৬ জন জেলেকে সাগরে রিক্ষেপ করে। জালের দঁিড় ও ফ্লোট ধরে ২/৩ ঘন্টা সাগরে ভেসে থাকার পর জেলেদের উদ্ধার করা হয়। দস্যুদের মধ্যে ৫-৬ জনের মুখোশ পরা ছিল। দস্যুবাহিনীর নাম জানা যায়নি। 
        শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার সরকার জানান, এব্যাপারে কেউ থানায় আসেনি। এলে তাদেরকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে। 
 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা