• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

ইতালী পাঠানোর কথা বলে লিবিয়া পাচারের অভিযোগ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০২৩  

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার কচুবুনিয়া গ্রামের মোঃ রাজীব শেখ (২৩) নামের এক নিরীহ যুবককে ইতালী পাঠানোর কথা বলে লিবিয়া পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছেলের সন্ধান না পেয়ে মা-বাবার পাগল প্রায় অবস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ রাজীব শেখের (২৩) বাবা মোঃ শহীদুল ইসলাম (৫৫) বাদী হয়ে মোড়েলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, কচুবুনিয়া গ্রামের সবুর ফরাজীর প্রবাসী ছেলে রাসেল ফরাজী(৩৫) দেশের বিদেশে থাকেন। চলতি বছরের প্রথম দিকে সবুর ফরাজী আমার ছেলেকে ইতালী পাঠানোর জন্য প্রস্তাব দেয়। ইতালী যাওয়ার জন্য ১২ লক্ষ টাকা লাগবে, যেতে পারলে মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবে। আমরা প্রথমে তার প্রস্তাবে রাজী হইনি। পরবর্তীতে মোঃ সবুর ফরাজী ও তার পুত্রবধু তাহিদা বেগম একাধিকবার আমাদের বাড়িতে আসে এবং কৌশলে আমার ছেলেকে রাজি করায়। টাকা জোগার করতে ১৫ শতাংশ জায়গা বিক্রি, কৃষি ব্যাংক থেকে লোন উত্তলন, চুক্তিতে জমি লিজ প্রদান, ইজি বাইক বিক্রি করি। গোয়ালের ৮ টি গরু রাসেল ফরাজির পরিবারকে প্রদান করি। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দফায় ৮ লক্ষ টাকা প্রদান করি। অবশিষ্ট তিন লক্ষ টাকার জন্য রাসেলের পরিবারকে ৮টি গরু প্রদান করি। কিন্তু রাসেল ফরাজি আমার ছেলেকে ইতালি না পাঠিয়ে লিবিয়ায় পাচার করেছে। সেখানে আমার ছেলে রাজিবকে অনেক নির্যাতন করে এবং বলে যে বাড়িতে টাকার কথা বল। আরও টাকা না দিলে ইতালি যেতে পারবিনা।

রাজিবের বাবা শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, প্রায় ২ মাস হয় রাজিবের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নাই। মোঃ সবুর ফরাজী ও তাহিদা বেগমের কাছে রাজিবের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা খারাপ আচারন করে। ৭-৮ জন লোক নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমাকে গলা ধাক্কাও দেয়। আমি এর প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমরা যেকোন মূল্যে আমার ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে চাই। হয়ত টাকা ফেরত চাই, নইলে রাজিবকে ইতালী পাঠাতে হবে। তা নাহলে আমাদের মরে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। কারণ রাজিবকে ইতালী পাঠাতে গিয়ে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। রাজিবের আয় দিয়ে-ই আমাদের পরিবার চলত। বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কাছে আহবান হতভাগা বাবা।

শহীদুল ইসলামের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সবুর ফরাজী বলেন, আমার ছেলের মাধ্যমে রাজিব শেখ বিদেশে যায়নি। অন্যলোকের মাধ্যমে সে বিদেশে গেছে। আর শহীদুল ইসলামের কাছ থেকে আমরা কোন টাকা বা গরু নেইনি। শহীদুল ইসলামের কোন দিন ৮টি গরু ছিল না।

মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাঈদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা