• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

সিলেটে ক্লিনিকের জীবাণুবাহী বর্জ্যে হুমকিতে স্থানীয় পরিবেশ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০১৯  

সিলেটে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অনেকগুলো বেসরকারি ক্লিনিক। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে গড়ে উঠা ক্লিনিকে মানা হচ্ছে না নিয়মনীতি। সাধারণ ও বড় ধরণের অপারেশনও করা হয় ওই সব ক্লিনিকে। অপারেশন শেষে রোগীর বর্জ্য, মলমূত্র, ব্যবহৃত কাপড়, সিরিঞ্জ ইত্যাদি ধ্বংস বা অপসারণ করার ব্যবস্থা কোনো ক্লিনিকেই নেই। বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনার সঙ্গে এসব বর্জ্য ফেলা হয় যেখানে সেখানে। হাসপাতাল বা ক্লিনিকের জীবাণুবাহী বর্জ্য পরিবেশের জন্য বিদপজনক হলেও কোনো কর্তৃপক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ নেই তাতে।

সিলেটে ক্লিনিকেলি বর্জ্য নিজেদের ডাস্টবিনে বা ঝুড়িতে জমিয়ে রাখা হয়। এসব বর্জ্যরে মধ্যে রোগীর ব্যান্ডেজ (কাপড়), সিরিঞ্জ, মলমূত্র, রক্ত, প্রসূতির নাড়িভূড়ি, অপরেশনের পর কেটে ফেলা রোগীর দেহের অংশবিশেষ ইত্যাদি। কোনো কোনো ক্লিনিকের বর্জ্য জমা করে সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিনে বা নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেওয়া হয়। সিটি করপোরেশনের গাড়ি এসে বর্জ্যগুলো তুলে নিয়ে ফেলে দেয় নদী কিংবা অন্য কোথাও। অনেক ক্লিনিক নগরীর ড্রেনের পাশে থাকায় বর্জ্য সরাসরি ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়। এসব বর্জ্য পানির সঙ্গে নদীতে গিয়ে পড়ে। নদী ছাড়া যেখানে সেখানে ফেলা হাসপাতাল বা ক্লিনিকের বর্জ্যে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এ থেকে মানুষের শরীরে নানা রোগজীবাণু সংক্রমিত হওয়া অস্বাভাবিক নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে রয়েছে শতাধিক বেসরকারী ক্লিনিক ও ওসমানী হাসপাতালসহ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আরও ৭টি। নিয়ম অনুযায়ী ক্লিনিকেলি জীবাণুবাহী বর্জ্য অপারেশনের রোগীর কেটে ফেলা অংশ, রক্ত-পুজ ইত্যাদি অটোক্লেভ যন্ত্রে শোধন ও ইনসিনারেটরে পুড়িয়ে ধ্বংস করার কথা। যাতে ওই বর্জ্য থেকে রোগজীবাণু বাইরে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। পরিবেশ আইনে ক্লিনিক করার আগে নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা ব্যবহৃত প্লাস্টিক সুঁচ, সিরিঞ্জ, টেষ্ট, প্লাস্টিক বর্জ্য অটোক্লেভ যন্ত্রে জীবাণুমুক্ত করার পর তা স্রেডিং মেশিন দিয়ে এবং প্লাস্টিক কাটার যন্ত্রে সুঁচ ও কাঁচের টিউব টুকরো টুকরো করে অপসারণ করার সুবিধা রাখতে হবে। প্যাথলজিকেল তরল বর্জ্য পরিশোধন পূর্বক জীবাণুমুক্ত করে অপসারণ করা এবং তুলা, গজ, ব্যান্ডেজ, ইত্যাদি পরিবেশ সম্মতভাবে ইনসিনারেটরে পুড়িয়ে ফেলা। কিন্তু সিলেটে কোনো ক্লিনিকে এসব ব্যবস্থা নেই।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা সিভিল সার্জন জানান, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক জানান, সিলেটের কোনো ক্লিনিকে জীবাণুবাহী বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই। পরিবেশ আইন লঙ্ঘনকারী ক্লিনিকের বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা করার বিধান থাকলেও সিলেটে কোনো ক্লিনিকের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেনি পরিবেশ অধিদপ্তর।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা