শোক হোক শক্তি
ষাট গম্বুজ টাইমস
প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০১৯
জেলহত্যা দিবস আজ। জাতির ইতিহাসে কলঙ্কময় দিন । ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বঙ্গবন্ধুর চার বিশ্বস্ত সহচর স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠে বসে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছেন তাঁর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন এই জাতীয় চারনেতা।
পৃথিবীর ইতিহাসে জেলখানার মতো নিরাপদ জায়গায় এ রকম হত্যার নজির নেই। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় মূলত জাতীয় চার নেতাকে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই হত্যা করা হয়। প্রথমে ঘাতক খন্দকার মুশতাকের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভায় ভেড়ানোর চেষ্টা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধু এবং দেশের প্রতি অবিচল আস্থা রেখে সেই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। প্রত্যাখ্যাত হয়ে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যাতে এরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারে সে জন্য চিরতরে তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে ঘাতক চক্র। সে অনুযায়ী রাতের আঁধারে তাদের জেলাখানার ভেতর হত্যা করা হয় নিষ্ঠুর পৈশাচিকতায়। এর মধ্য দিয়ে মূলত সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পেছনে চলা শুরু হয়। হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাসা বাঁধে।
এইদিনে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতাকে আমরা গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকারই হোক আজকের শপথ
স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা হয়। দুই দফায় সামরিক শাসকরা ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার বাইরে রাখে। জেলহত্যার বিচারের পথও রুদ্ধ করে রাখা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যেমন করে বন্ধ রাখা হয়েছিল ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। কিন্তু ইতিহাসের চাকা সবসময় একদিকে ঘুরে না। এক সময় শেষ হয় ঘাতকের দিন। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ জনরায় নিয়ে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচারের পথও সুগম হয়।
হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিচারকাজ শুরু করে। পরবর্তী সময় বিচারকাজ নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে। ২৯ বছর পর ২০০৪-এর ২০ অক্টোবর অভিযুক্তদের মধ্যে পলাতক ৩ জনের ফাঁসি, জেলে অবস্থানরত ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জামিনে মুক্তদের নির্দোষ ঘোষণা করে বিচারিক আদালত দায়সারা একটি রায় দেয়। রায়ে এত বড় একটি ঘটনায় ষড়যন্ত্রীদের শাস্তির আওতায় না আসাও জাতিকে বিস্মিত করে। পরে ডেথ রেফারেন্স ও রায়ের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের করা আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে চারজনকে দণ্ড থেকে অব্যাহতি দেন। এ রায় জাতিকে আরো স্তম্ভিত ও মর্মাহত করে। আত্মস্বীকৃত মূল আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়ে যাবে এটা কারো কাছেই প্রত্যাশিত ছিল না। বিস্ময়করভাবে তখন রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করেনি।
এরপর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রত্যাশিত আপিল দায়ের করা হয়। আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল রায় দেন। হাইকোর্টের রায়টি বাতিল করে বিচারিক আদালতের রায়ই বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জেলহত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন আসামিই বর্তমানে পলাতক রয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। সম্প্রতি একজনের মারা যাওয়ার খবর জানা গেছে। এখন প্রশাসনের দায় পলাতক দণ্ডিত আসামিদের খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করা। যাতে এর মধ্য দিয়ে জাতি অভিশাপ মুক্ত হতে পারে।
এইদিনে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতাকে আমরা গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকারই হোক আজকের শপথ।
- টুংগীপাড়া চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাবুলের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- জনপ্রিয় ডাচ অভিনেতার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ. চলছে তোলপাড়
- বৃষ্টির জন্য মোংলায় ইসতিসকার নামাজ ও মোনাজাত
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, ভাগ্যক্রমে বাঁচল কিশোরী
- ‘আম্মু, তোমাকে ভালোবাসি’, ডেঙ্গুতে মৃত মাকে ছোট্ট আইয়ানের চিঠি
- বিয়ে করছেন কঙ্গনা, পাত্র কে?
- মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
- হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও বিখ্যাত বিজ্ঞানীর ইসলাম গ্রহণ
- বিগ বস` বিজয়ী এলভিশ গ্রেপ্তার
- মুশতাক দম্পতি টিকটক করলে সমস্যা নেই
- শৈলকুপায় মাটি খুঁড়ে মিলল ১৫ পবিত্র কোরআন শরিফ
- মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দেয় ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়
- চলতি মাসেই কমছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- আগুনে পুড়লো পরিবারের পাঁচ সদস্য, পড়ে রইলো ভিসা-পাসপোর্ট
- সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল
- জনপ্রিয় ডাচ অভিনেতার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ. চলছে তোলপাড়
- বৃষ্টির জন্য মোংলায় ইসতিসকার নামাজ ও মোনাজাত
- টুংগীপাড়া চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাবুলের অপকর্মের তথ্য ফাঁস