• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

কসরে সুন্নত-নফলের বিধান

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৩  

মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফরে সাধারণত: ফরজ নামাজের আগে বা পরে সুন্নত নামাজ পড়তেন না। তবে বিতর ও ফজরের সুন্নত তিনি সফরেও নিয়মিত পড়তেন।

বলা বাহুল্য, সফরে (বিতর ও ফজরের আগে ২ রাকাত ছাড়া) সুন্নত (মুআক্কাদাহ) না পড়াই সুন্নত। হজরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা.) এক সফরে লোকেদেরকে ফরজ নামাজের পর সুন্নত পড়তে দেখে বললেন, ‘যদি আমাকে সুন্নতই পড়তে হতো, তাহলে ফরজ নামাজ পুরা করেই পড়তাম। আমি নবী (সা.) এর সঙ্গে সফরে থেকেছি। আমি তাকে সুন্নত পড়তে দেখিনি’। অতঃপর তিনি বললেন- لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ

অর্থাৎ: ‘নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ’। (কোরআন মাজিদ ৩৩/২১, বুখারি ১১০১ নম্বর, মুসলিম, সহিহ)

আমি নবী (সা.) এর সঙ্গে সফরে থেকেছি। তিনি ২ রাকাতের বেশি নামাজ পড়তেন না। অনুরুপ আবূ বকর, ওমর ও ওসমান (রা.)-ও করতেন’। (বুখারি ১১০২ নম্বর, মুসলিম, মিশকাত ১৩৩৮ নম্বর)

তবে সফরে সুন্নতে মুআক্কাদাহ পড়া যাবে না এমন কথা নয়। যেহেতু মহানবী (সা.) কখনো কখনো কিছু কিছু সুন্নতে মুআক্কাদাহ পড়তেন। (মিশকাত আলবানীর টীকা ১/৪২৩) অবশ্য সাধারণ নফল, তাহাজ্জুদ, চাশত, তাহিয়্যাতুল মাসজিদ প্রভৃতি নামাজ সফরে পড়া চলে। যেমন- ফরজ নামাজের আগে-পরেও নফলের নিয়তে নামাজ পড়া দূষণীয় নয়।

মক্কা বিজয়ের দিন উম্মেহানীর ঘরে তিনি চাশতের নামাজ পড়েছেন। (বুখারি) এ ছাড়া তিনি সফরে উটের পিঠে নফল ও বিতর নামাজ পড়তেন। (বুখারি, মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান)

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা