• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

এসব ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেও জীবাণু মরে না

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০  

করোনাকে সঙ্গী করেই জনজীবন স্বাভাবিক হতে চলেছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে জনসাধারাণকে পথে নামতে হচ্ছে। এই জীবন আরো কঠিন। কারণ বাইরে ব্যক্তিগত সুরক্ষাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাও বেশ দুষ্কর।

এতদিন ঘরে থাকার কারণে সবাই বারবার সাবান পানিতে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছিল। তবে বাইরে থাকলে সাবান ও পানি সবসময় হাতের কাছে থাকবে না। তাই প্রয়োজন বাড়বে অ্যালকোহলযুক্ত ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজারয়ের। তবে সব জায়গাতেই কি হ্যান্ড স্যানিটাইজার কার্যকরী? মোটেও না।

> অতিরিক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের ফলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এতে ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় ঠিকই তবে শরীরের জন্য উপকারী বিভিন্ন মাইক্রোবায়োমও ধ্বংস করে। 

> যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনয়ের মতে, হাত থেকে জীবাণু দূর সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো সাবান ও পানি ব্যবহার। কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়ার মাধ্যমেই ভাইরাস নিধন সম্ভব।

> কিছু ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ভাইরাস দমনে কাজ করে না। হাতে লেগে থাকা দৃশ্যমান ময়লা যেমন- কাদা, ধুলা, তেল-কালি ইত্যাদি বিভিন্ন উপাদানের বিরুদ্ধে অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার অকার্যকর। 

> বাগান করা, খেলাধুলা, ঘর পরিষ্কার করা ইত্যাদি কাজের পর স্যানিটাইজার নয় সাবান দিয়েই হাত ধুয়ে নিন।

> আপনার আশে পাশে যদি কেউ হাঁচি-কাশি দেয় তবে হয়ত স্যানিটাইজার মেখেও লাভ নেই। কারণ যিনি হাঁচি-কাশি দিয়েছেন তার মুখের লালাকণা যদি আপনার নিঃশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করে তবুও আপনি আক্রান্ত হবেন। 

> এই সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় মনযোগ বাড়াতে হবে। স্যানিটাইজার মাখা নিয়ে ব্যস্ত হয়েও তাই তেমন কোনো লাভ নেই।

> বর্তমানে অনেকেই একটু পর পর হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন! মনে রাখবেন, আপনি যত বেশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন, জীবাণু ততই অ্যালকোহল হজম করার ক্ষমতা অর্জন করবে। তাই কোনো কিছু স্পর্শ না করলে অযথাই স্যানিটাইজার ব্যবহার পরিহার করুন।

> অতিরিক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের আরেকটি ক্ষতিকর দিক হলো হাতের ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া।

> যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’য়ের পরামর্শ হলো, হাতে স্যানিটাইজার নিয়ে তা দুই হাতের চারপাশে ২০ সেকেন্ড কিংবা শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ভালোভাবে মাখাতে হবে।

> শিশুদের হাতে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ ব্যবহারে কোনো ঝুঁকি নেই। তবে তা সবসময় শিশুদের হাতের নাগালের বাইরে রাখুন। যাতে খেলাচ্ছলে তা খেয়ে না ফেলে, কিংবা ঘ্রাণ না নেয়। 

> সর্দি লাগলে নাক ঝাড়ার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা আপনার কোনো উপকারে আসবে না। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার বিকল্প নেই এখানে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা