• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

স্বাবলম্বী হয়েছেন ১ লাখের বেশি নারী উদ্যোক্তা

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২১  

বাংলাদেশের জামালপুর, খুলনা এবং বাগেরহাট জেলার এক লাখেরও বেশি প্রান্তিক নারীকে উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তোলার মাইলফলক অর্জন করেছে জনপ্রিয় কোমল পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলা।

জামালপুর, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় বর্তমানে ৭০টির বেশি ডব্লিউবিসি কেন্দ্র ও ২০০ উপকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের মাধ্যমে ২০২০ সালে মধ্যে ১ লাখেরও বেশি নারীকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে।

জামালপুরের লুইস পার্ক মিলনায়তনে ইউনাইটেড পারপাস আয়োজিত ও কোকা-কোলার সহায়তায় ১৬ মার্চ ‘এমপাওয়ারিং ১ লাখ উইমেন ইন বাংলাদেশ থ্রো ডব্লিউবিসি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ইউনাইটেড পারপাসের হেড অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড লাইফলিহুডের শামীম হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীরামাপ্পা গনচিকারা।

কোকা-কোলা বৈশ্বিক ‘৫/২০’ (ফাইভ বাই টোয়েন্টি) ক্যাম্পেইনের আওতায় তার অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে সারা বিশ্বে ৬০ লাখের বেশি নারীকে স্বাবলম্বী ও ক্ষমতায়িত করেছে। এ ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য ছিল ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৫০ লাখ নারীকে আর্থিক ও আনুষঙ্গিক সহায়তা দিয়ে স্বাবলম্বী করে তোলা।

ক্যাম্পেইনের অংশ হিসাবে ২০১৫ সালে কোকা-কোলা বাংলাদেশে উইমেন বিজনেস সেন্টার (ডব্লিউবিসি) বা নারী ব্যবসা কেন্দ্র নামে এক ব্যতিক্রমধর্মী মডেলের যাত্রা শুরু করে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য নারী উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, বাজার তথ্য, কৃষি প্রশিক্ষণ, মোবাইল ব্যাংকিং সহায়তা, স্বাস্থ্য পরামর্শ, দিক নির্দেশনা ও নেটওয়ার্কিং সুবিধা প্রদান এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা দেয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামালপুর জেলার সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি দাস বলেন, নারী আমাদের সহায়ক শক্তি। ডব্লিউবিসি প্রকল্প শুধু প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়িত করেনি, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এ প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।

কোকা-কোলা বাংলাদেশের পাবলিক এফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার ফারাহ শারমিন আওলাদের মতে, বিশ্বের অর্থনৈতিক খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম অপ্রচলিত উৎস হচ্ছে এই নারীরা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ-এর ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, নারীর ক্ষমতায়ন উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের পাশাপাশি আয় সমতা ও অন্যান্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনে।

৩০টি ডব্লিউবিসি কেন্দ্র থেকে ৫০০ জন উপকারভোগীর ওপর এক সমীক্ষায় জানা যায়, জরিপে অংশ নেয়া ৬০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, ডব্লিউবিসি কেন্দ্র ছাড়া তারা আইটি বা তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা পেতেন না। জরিপে অংশ নেয়া শতভাগ নারী বলেছেন তারা ডব্লিউবিসি সেন্টারের স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন।

প্রাণিসম্পদের জেলা কর্মকর্তা দীপক রঞ্জন রায় জানান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টির মধ্যে নয়টির সঙ্গে প্রাণিসম্পদ বিভাগ প্রান্তিক নারীর দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করছে। হাস-মুরগি প্রতিপালনের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীরা হাস-মুরগি, গরু-ছাগল প্রতিপালন করে তা বিক্রির মাধ্যমে অর্থ রোজগার করছে। পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছে। এভাবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

প্রধান অতিথি জামালপুর জেলার সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি দাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জামালপুরের নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য একটি বিপণন কেন্দ্রে উদ্বোধন করেন।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা