• বুধবার ২২ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

ব্রণ নিরাময়ে আপনার করণীয়

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০১৯  

ব্রণ এক মহাযন্ত্রণার নাম। এটি যদি কারো ওঠে, তা হলে (হোক সে ছেলে বা মেয়ে) মানসিক যন্ত্রণার কমতি থাকে না। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সে এ রোগটি সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। তবে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্তও কারো কারো ব্রণ হতে দেখা যায়।

টিনএজারদের মধ্যে ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রেই কম অথবা বেশি এটি হয়ে থাকে। ২০ বছর বয়সের পর থেকে এটি তুলনামূলকভাবে কমতে থাকে। সাধারণত মুখে; যেমন-গাল, নাক ও কপালে ব্রণ দেখা যায়। ব্রণ হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে বংশগত প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়ায় একটি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যেটির নাম প্রোপাওনি ব্যাকটেরিয়াম একনি। বয়োসন্ধিকালে এড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবামের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই সেবাম থেকে ফ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে লোমের গোড়ার উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া। ফলে আমাদের লোমের গোড়ায় এই ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রভাবে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এর পাশাপাশি লোমের গোড়ায় জমা হয় কেরাটিন নামক পদার্থ। ফলে সেবাসিয়াস গ্রন্থিপথ বন্ধ হতে থাকে এই কেরাটিন, লিপিড আর মেলানিন পদার্থ দিয়ে, যা ব্ল্যাক হেড বা ‘হোয়াইট হেড’ হিসেবে দেখা দিয়ে থাকে।

ডক্সিসাইক্লিন : এ ক্ষেত্রে ডক্সিসাইক্লিন একটি চমৎকার ওষুধ। এ ছাড়া এরিথ্রোমাইসিন খেয়ে যদি ব্যাকটেরিয়া রেজি-স্ট্যান্ট হয়, সে থেকে ডক্সিসাইক্লিন কার্যকর ওষুধ।

এরিথ্রোমাইসিন বা ক্লিলনডামাইসিন : গর্ভবতীরা যখন টেট্রাসাইক্লিন খেতে পারেন না, তখন এরিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্লিনডামাইসিনও অন্য ওষুধের মতো কার্যকর।

হরমোন থেরাপি : নারীদের ক্ষেত্রে সেবামের নিঃসরণ বেড়ে যায়, যদি ওভারি থেকে এন্ডোজেন হরমোন তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে কম ডোজের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি মুখে খাওয়া যাবে, যাতে থাকতে হবে নন-এন্ডোজেন প্রজেসটিন, যা ভূমিকা রাখে। তবে যে ওষুধই সেবন করুন না কেন, তা ডাক্তারের পরামর্শেই খেতে হবে।

 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা