• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

অতিরিক্ত পিৎজা প্রেমে যা হবে

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০১৯  

সময়ের পরিবর্তনে তরুণ থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাই সহজ খাবার পিৎজা খেতে পছন্দ করে। এছাড়াও তৈরি করতে সময় পান বলে অনেকেই এই রেডি খাবার খেয়ে থাকেন। বিকেলে হলেই ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে বা কাছাকাছি দোকান থেকে নিয়ে আসা হয় এই সব খাবার। অ্যাপে অফার থাকলে তো আর কোনো কথাই নেই।

আবার শুধু বাড়িতেই নয়, অফিসেও হঠাৎ ট্রিটগুলোতে পিৎজা খাওয়ার প্রচলণ বাড়ছে এখন। কিন্তু আমাদের এই অভ্যাস কি ভাল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত গবেষণা করেছেন। এই গবেষণায় দেখা গেছে, হ্যামবার্গার বা পিৎজার মতো খাবার খেলে পুষ্টি কম পাওয়া যায় আর বাড়ে ক্যান্সারের মতো অসুখের আশঙ্কা।

কিন্তু কী ভাবে? জরিপে দেখা গেছে, পিৎজা খেলে ডিইডি বা ডায়েটারি এনার্জি ডেনসিটির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। সাধারণ ঘরোয়া খাবার বা শাকসবজিতে হয় এর ঠিক বিপরিত। এই ডিইডি-কে ক্যান্সারের একটি কারণ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শিকাগোর ইলিওনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিন কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা ৮৪ থেকে ২৩০ ক্যালরি অতিরিক্ত খাচ্ছে পিৎজার কারণে।

পুষ্টিবিদরা বলেন, পিৎজার বেস তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। ময়দা উচ্চ গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সে থাকা উপকরণ। অর্থাৎ এটি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে গ্লুটেন হজম করাও কঠিন। এ ছাড়া স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টরেলের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া এই খাবার শিশুদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়াচ্ছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা