স্কুলগামী শিশুদের পুষ্টির চাহিদা
ষাট গম্বুজ টাইমস
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৯
শিশুর জন্মের পর থেকেই পরিবারের সবার দায়িত্ব বেড়ে যায়। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় পুষ্টির দিকে। শিশুর বেড়ে ওঠার এ সময়ে খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা বেশি থাকে। শিশুদের বিকাশ ও বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে স্কুলে পড়ুয়াদের।
পুষ্টি বিজ্ঞানীরা মনে করেন, যদি খাবার সুষম হয় এবং শরীরের প্রয়োজনের জন্য সঠিক পরিমাণে থাকে তবেই একটি শিশু সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে। শিশুর স্কুল সময়টাই ব্রেন ডেভেলপমেন্টের আদর্শ সময়। শিশুদের খাদ্য পরিকল্পনায় নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।
স্কুলগামী শিশুদের পুষ্টির চাহিদা
শিশুদের দৈনিক ১২শ’ থেকে ১৫শ’ কিলোক্যালরি পর্যন্ত ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। কার্বোহাইড্রেট ৬০%, প্রোটিন ২০% এবং ফ্যাট ২০% দেয়া প্রয়োজন। মোট ক্যালরির বেশিরভাগ অংশ কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন থেকে নেয়া ভালো। বাকি অংশ ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেলস থেকে পূরণ করতে হবে।
কার্বোহাইড্রেট থেকে শিশু শক্তি পাবে। যেমন- চাল, আটা, ময়দা, সুজি, আলু, চিনি, গুড়, মধু, চিড়া, মুড়ি ইত্যাদি খাবার।
শরীরের ক্ষয় পূরণ, গঠন এবং দ্রুত বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা, পনির, ডাল, বরবটির বিচি, মটরশুঁটি, মাশরুম ইত্যাদি খেতে হবে। প্রোটিন মাংসপেশি, হরমোন, এনজাইম, রক্তের হিমোগ্লোবিন ইত্যাদি তৈরিতেও সাহায্য করে।
ফ্যাট থেকে শক্তি পাবে যেমন- তেল, ঘি, মাখন ইত্যাদি। এছাড়া ফ্যাট জাতীয় খাবার শিশুর স্নায়ু কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।
হাড় ও দাঁতের গঠন এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রচুর খনিজ লবণ এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার যেমন- তাজা ও টাটকা মৌসুমি ফলমূল, শাকসবজি, ইত্যাদি রাখতে হবে। চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন- এ, ডি, ই ও কে এগুলো রান্না করলেও খাবারে মান অক্ষুণ্ণ থাকে। ভিটামিন-এ’র অভাবে অনেক শিশুর রাতকানা রোগ হতে পারে। ভিটামিন-ডি’র অভাবে হাড়ের গঠনে সমস্যা হয় এবং রিকেট রোগ হতে পারে। অন্যদিকে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন-বি ও সি’র অভাবে শিশুর রক্তশূন্যতাসহ নানা ধরনের স্নায়ুবিক রোগ হতে পারে।
খাবার
সকালের নাস্তায় তাদের রুটি সবজি বা হালুয়া ও ডিম, ব্রেড জেলি মার্জারিন বাটার, কর্নফ্ল্যাক্স দুধ, সবজি ডিম দিয়ে নুড্লস, শীতের সময় পিঠা অথবা কিছুই খেতে না চাইলে একটি সিদ্ধ ডিম, এক গ্লাস দুধ ও একটি কলা দিয়ে অভ্যাস করতে হবে।
বাসায় থাকলে ১১টায় যে কোনো মৌসুমি ফল, ফলের জুস, মিল্কশেক, বিস্কিট, বাসায় বানানো ফ্রুটস কেক, যে কোনো পিঠা, কিছু সবজি বাটার বা অলিভ অয়েলে সামান্য ভেজে দিতে পারেন। এছাড়া দেয়া যায় মিক্সড কিছু বাদাম। যা তাদের বেড়ে ওঠার পুষ্টি জোগাবে।
দুপুর খাবারে ভাতের সঙ্গে রঙিন শাক ও সবজি প্রতিদিন দিতে হবে। সঙ্গে মুরগি, ডাল এবং বড় ও ছোট মাছ দিয়ে অভ্যাস করতে হবে। অনেক বাচ্চাই মাছ খেতে চায় না তাকে মাছ খাওয়ার উপকারিতা বোঝাতে হবে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে একটু লেবু চিপে দিতে হবে যেন ভিটামিন সি পরিপূর্ণভাবে পায়। শসা, গাজর, টমেটো এক/দুই পিস দিতে হবে। এছাড়া যে শিশুদের ওজন কম তাদের ভাতের সঙ্গে একটু ঘি মেখে দেয়া যায়।
বিকালের নাস্তার ক্ষেত্রে বাসায় বানানো রোল, স্যান্ডউইজ, নুড্লস, মোমো, পাটিসাপ্টা পিঠা, সন্দেশ, হালুয়া, মুরগির স্যুপ, যে কোনো ফল, মিক্সড বাদাম ইত্যাদি খাবার থেকে এক/দুইটা আইটেম দেয়া যেতে পারে।
রাতের খাবারও দুপুরের খাবারের মতই হবে। তবে রাতের খাবারটা আগে খাওয়াতে হবে এবং রাতে একগ্লাস দুধ দিতে হবে তাদের। বাচ্চারা যেন পর্যাপ্ত পানি পান করে সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।
হাইজিন সম্পর্কে ধারণা দেয়া
এছাড়া সুস্থ থাকতে বিদ্যালয়গামী ছেলেমেয়েদের পুষ্টিকর খাবার ও লেখাপড়া শেখানোর পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বা হাইজিন সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। যেমন- হাতের নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখা, খাওয়ার আগে হাত ধোয়া, কাঁচা সবজি ও ফল খাওয়ার আগে ধুয়ে খাওয়া, নিয়মিত দাঁত মাজা, মিষ্টি খাওয়ার পর দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার করা, পরিষ্কার পোশাক পরা, নিয়মিত গোসল করা, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা, খোলা বাসি খাবার না খাওয়া, খাবার সব সময় ঢেকে রাখা, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে টয়লেট ট্রেনিং শেখান এবং কাজ শেষে হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলা। কারণ এ ব্যাপারগুলোর সঙ্গেও শিশুদের সুস্থতা নির্ভর করে অনেকটা।
আজকালকার অনেক শিশু আছে যাদের বয়স ও উচ্চতার তুলনার ওজন বেশি। এরপরও অনেক মা হয়তো অভিযোগ করছেন, তার বাচ্চাটি না খেয়ে খেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। নাদুসনুদুস নয়, আমাদের চাওয়া হবে সুস্থ-সবল ও সঠিক হারে বাড়ন্ত শিশু। শিশুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য শুধু খাওয়া-দাওয়া দিলেই চলবে না, তাকে দিতে হবে পারিপার্শ্বিক উষ্ণতা, মানসিক বন্ধন। তাই শুধু পুষ্টিকর খাবারই নয় তার সঙ্গে প্রতিদিন নিয়মিত কিছু শারীরিক শ্রমও বাড়াতে হবে যেমন- খেলাধুলা, ব্যায়াম, সাঁতার, সাইক্লিং, কারাতে, বাস্কেটবল, ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদির খেলার প্র্যাকটিসও করতে হবে।
- নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত
- বস্তিবাসী-রিকশাচালকও ফ্ল্যাটে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
- টুংগীপাড়া চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাবুলের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- জনপ্রিয় ডাচ অভিনেতার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ. চলছে তোলপাড়
- বৃষ্টির জন্য মোংলায় ইসতিসকার নামাজ ও মোনাজাত
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, ভাগ্যক্রমে বাঁচল কিশোরী
- ‘আম্মু, তোমাকে ভালোবাসি’, ডেঙ্গুতে মৃত মাকে ছোট্ট আইয়ানের চিঠি
- বিয়ে করছেন কঙ্গনা, পাত্র কে?
- মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
- হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও বিখ্যাত বিজ্ঞানীর ইসলাম গ্রহণ
- বিগ বস` বিজয়ী এলভিশ গ্রেপ্তার
- মুশতাক দম্পতি টিকটক করলে সমস্যা নেই
- শৈলকুপায় মাটি খুঁড়ে মিলল ১৫ পবিত্র কোরআন শরিফ
- মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দেয় ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়
- চলতি মাসেই কমছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল
- জনপ্রিয় ডাচ অভিনেতার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ. চলছে তোলপাড়
- বৃষ্টির জন্য মোংলায় ইসতিসকার নামাজ ও মোনাজাত
- টুংগীপাড়া চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাবুলের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- বস্তিবাসী-রিকশাচালকও ফ্ল্যাটে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
- নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত