• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

দু`দফা ভোটাভুটিতে হেরে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রিটেশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে দুই দফা পরাজিত হয়েছেন। বুধবার রাতে হাউজ অব কমন্সে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রথমে সংসদ সদস্যরা 'নো-ডিল ব্রেক্সিট' বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চুক্তি ছাড়া বেরিয়ে যাবার বিষয়টি আটকে দিয়ে একটি বিল পাশ করেছেন পার্লামেন্ট। এই বিলটি এনেছে বিরোধী দলগুলো, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একদল বিদ্রোহী এমপি। এরপর আগাম নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব এনেছিলেন সেটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় খারিজ হয়ে গেছে। 

এমপিদের পাস করা বিলে বলা হয়েছে, বরিস জনসন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একটি সমঝোতা করে পার্লামেন্টে নিয়ে আসতে না পারেন, তাহলে তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ফিরে যেতে হবে এবং অনুরোধ জানাতে হবে যে ব্রেক্সিটের সময়সীমা ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হয়।

এই অনুরোধ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে চিঠি পাঠাবেন, সেটার ভাষা কী হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে এই বিলের মাধ্যমে। 'নো-ডিল ব্রেক্সিট' আটকে দিয়ে পার্লামেন্টে যে বিল পাশ করা হয়েছে সেটি এক অর্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আত্নসমর্পণ বলে বর্ণনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

এই বিল পাশ হবার পরে বরিস জনসন আগামী ১৫ অক্টোবর নির্বাচনের প্রস্তাব আনেন। কিন্তু ব্রিটেনে এখন যে 'ফিক্সড টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট' রয়েছে সে বলা আছে যে একটি পার্লামেন্ট যে মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবে সে মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে।

যদি আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হয় তাহলে দুই-তৃতীয়াংশ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন লাগবে। কিন্তু আগাম নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে।

আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব রেখে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, "সরকারের আনা একের পর এক প্রস্তাব যদি পার্লামেন্ট পাশ না করে, তাহলে সরকার পরিচালনা করা পুরোপুরি অসম্ভব।"

জনসন বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে এটা নজিরবিহীন যে সরকার নির্বাচন দিতে চাইছে আর বিরোধী দল সেটি প্রত্যাখ্যান করছে।

 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা