• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করছি: তৌফিক এহেসান

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০১৯  

১০ অক্টোবর থেকে রাজধানীর কম্পিউটার সিটি সেন্টারে (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) বড় পরিসরে জাঁকজমকভাবে শুরু হচ্ছে দশম ‘ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১৯। গত কয়েকবারের মেলা ও বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন এবারের মেলার আহ্বায়ক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তৌফিক এহেসান।

এবারের মেলার বিশেষত্ব কী?

তৌফিক এহেসান: এবারের মেলা সত্যিই বিশেষ। ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১৯ আমাদের দশম মেলা। ঢাকার এলিফ্যান্ড রোডে অবস্থিত কম্পিউটার সিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাঁচদিনব্যাপী ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১৯। এ কম্পিউটার মেলার স্লোগান হচ্ছে গো ডিজিটালি মেক ইয়োর লাইফ হ্যাসল ফ্রি। মানুষের জীবনে তথ্যপ্রযুক্তি যে বড় পরিবর্তন আনছে তার বাস্তব চিত্র মেলায় আসলে দেখতে পাবেন। জীবনকে সহজ করতে পারে প্রযুক্তি, সে লক্ষ্য থেকে এবারের মেলা সাজানো হয়েছে।

কি কি আয়োজন থাকছে মেলায়?

তৌফিক এহেসান: ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় কম্পিউটার শপিং মল কম্পিউটার সিটি সেন্টারে (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) জাঁকজমকভাবে ৫ দিনব্যাপী “ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার ২০১৯” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের একতলায় এক বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলার সমাপনী হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রথম থেকে দশম তলা পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬৫ হাজার বর্গফুট এরিয়া জুড়ে এ মার্কেটের ৭৪৬টি প্রতিষ্ঠান তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য ও কলাকৌশল এ মেলায় প্রদর্শন করবে। মেলায় ছাড় ও উপহারের পাশাপাশি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশেষ আয়োজন হিসেবে থাকবে শিশু কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ফ্রি গেমিং ও ইন্টারনেট ব্রাউজিং প্রভৃতি সুবিধা। মেলায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা হয়েছে।

দেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে এ মেলার ভূমিকা কতখানি?

তৌফিক এহেসান: দেশের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার এবং এর সুফল ছড়িয়ে দিয়ে। বহু প্রত্যাশিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষেই এ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। মেলায় বাংলাদেশের শীর্ষ আইসিটি পণ্য আমদানীকারক ও ব্যবসায়ীরা বিশ্বের মানসম্পন্ন ব্র্যান্ডের আধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। আমাদের প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষেরা এ রকম একটি মেলার আয়োজনের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। মেলায় তাদের জন্য নতুন পণ্য যেমন আসে তেমনি ছাড় আর উপহার পাওয়া যায়। এটা প্রযুক্তিপ্রেমীদের মিলনমেলা স্থল। আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এ মেলার গুরুত্ব অত্যাধিক। দেশের আর্থ-সামাজিকঅগ্রগতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এ ধরনের মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আশাকরি, “ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১৯” থেকে সবাই আশানুরূপ ফল লাভ করবে এবং এ আয়োজনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে।

তথ্যপ্রযুক্তিতে কতটা এগিয়েছে দেশ?

তৌফিক এহেসান: তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সাফল্য ও কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা আমরা সবাই জানি। তাঁর সময়োপযোগী উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা এখন মেড ইন বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। আমরা স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে রয়েছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।

সামনে লক্ষ্য কেমন হওয়া উচিত?

তৌফিক এহেসান: আজ আমি বলবো, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় নতুন প্রজন্ম ডিজিটাল হচ্ছে। তাদের জীবন যাত্রা সহজ করতে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে ডিজিটাল উপকরণ। আমরা ডিজিটাল উপকরণকে সহজলভ্য করতে প্রতিবছর আয়োজন করি ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার। আমাদের প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষেরা এ রকম একটি মেলার আয়োজনের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। মেলায় তাদের জন্য নতুন পণ্য যেমন আসে তেমনি ছাড় আর উপহার পাওয়া যায়। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় শপিং মল কম্পিউটার সিটি সেন্টার বা মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে সব প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে। আশা করছি এবারে ১০ লাখের বেশি মানুষ মেলা পরিদর্শন করবে।

মেলায় কি কোনো ছাড় বা উপহার থাকছে?

তৌফিক এহেসান: প্রতিবারের মতো এবারের মেলাতেও নতুন নতুন প্রযুক্তিপণ্যর সমাহার করা হয়েছে। মানুষের কাছে সহজে ডিভাইস তুলে দেওয়ার পাশাপাশি নানা ছাড় ও উপহার রাখা হচ্ছে। প্রতিবারের চেয়ে এবার আরও বড় পরিসরে ও জাঁকজমকভাবে মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। মেলায় সুন্দর করে সাজানো দোকানগুলোতে সহজে পণ্য দেখার ও কেনার সুবিধা পাবেন। মেলায় জোর দেয়া হয়েছে ডিজিটাল ডিভাইস, যাতে সবার হাতের নাগালে থাকে সে বিষয়টির ওপর। মেলা চলাকালীন ডিজিটাল উন্নয়নমূলক বেশ কিছু আয়োজন থাকবে। মেলার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করা হবে। যাতে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার ছড়িয়ে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ আরও ত্বরান্বিত করা যায়। মেলায় প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। তবে স্কুল শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।

পণ্যের ওয়ারেন্টি নিয়ে কিছু বলুন।

তৌফিক এহেসান: এ মার্কেট ও মেলায় সব সময় আসল পণ্য বিক্রি হয়। তাই পণ্যের ওয়ারেন্টি ও মান নিয়ে গ্রাহকেরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

এবারের মেলায় আপনাদের সাথে সহযোগী হিসেবে কারা থাকছে?

তৌফিক এহেসান: বিশ্বের স্বনামধন্য বিভিন্ন আইসিটি ব্র্যান্ড এই মেলায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে। প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে এসার, ডেল, এইচপি, ক্যাসপারস্কি। গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে আসুস, লেনোভো, এডাটা। সিলভার স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ডাহুয়া ও টিপি-লিংক। স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ইসেট, টেনডা, ট্রানসেন্ড, ওয়েব লিংক। গেমিং পার্টনার হিসেবে রয়েছে গিগাবাইট।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা