• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

কোনও স্ত্রীর কাছে তার স্বামী পারফেক্ট থাকেনা

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০১৯  

জনপ্রিয় অভিনেত্রী মোশাররফ করিম পত্নী জুঁই করিম। স্বামী বিরাট অভিনেতা তাই শখের বসে নিজেও শুরু করেন অভিনয়। কিন্তু শখ আর শখ থাকেনি। তবে সহধর্মীনি হয়ে নয়, নিজ মেধা আর অভিনয়ের কারণে অভিনয় জগতে নিজেকে এক উচ্চতায় পৌঁছে নিয়ে গেছেন তিনি। নির্মাতারা বেশ আগ্রহ করেই নানা ধরনের চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করাচ্ছেন তাকে দিয়ে। যে কারণে অভিনয়ে জুঁইয়ের ব্যস্ততা এখন বেশ তুঙ্গে। সম্প্রতি ‘চাটাম ঘর’ শুটিং স্পটে কথা বলেন। সেখানেই আড্ডাতেই তিনি তার সমসাময়িক ব্যস্ততা ও অন্যান্য কাজ নিয়ে কথা বলেছেন।

কেমন আছেন?

জুঁই করিম : আলহামদুলিল্লাহ, বেশ ভালো আছি।

বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?

জুঁই করিম : বর্তমানে ঈদের কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত আছি। এরইমধ্যে ৫ টি ধারাবাহিকের কাজ শেষ করেছি। আরও কিছু স্ক্রিপ্ট নিয়ে কথা হচ্ছে ঈদের জন্য। পাশাপাশি নিয়মিত তিনটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। তিনটি নাটক টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে। শামীম জামানের পরিচালানায় ‘চাটাম ঘর’ শিরোনামের ধারাবাহিকটি সপ্তাহের প্রতি মঙ্গল ও বুধবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে। কচি খন্দকারের পরিচালনায় ‘বাঙ্গি টেলিভিশন’ নামের ধারাবাহিকটি সপ্তাহের প্রতি শনি, রবি ও সোমবার রাত ৯টায় নাগরিক টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে। রায়হান খানের পরিচালনায় ‘বৃহস্পতি তুঙ্গে’ নামের ধারাবাহিকটি প্রতি রবি, বুধ ও শুক্রবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে চ্যানেল আইতে প্রচারিত হচ্ছে।

আপনার অভিনয়ে আসার অনুপ্রেরণা কে?

জুঁই করিম : আসলে কোনও ব্যক্তি না। আমার মনের মধ্যে একটা ক্ষুধা ছিলো যে আমি মিডিয়াতে কাজ করবো। একটা সময় আমি গান করতাম। পরবর্তীতে বিয়ে-সংসার সামলাতে গিয়ে গানটা নিয়মিত করা হয়নি। তবে মোশাররফ যখন ফুল টাইম অভিনয় করা শুরু করলো তখন সারাদিন শুটিং নিয়ে বেশ ব্যস্ত থাকতো। সেসময় আমি বাসায় একা একা থাকতাম সারাদিন। একটা সময় মোশাররফকে দেখে আমার মনে হয়েছে আমি মিডিয়াতে কাজ করলে হয়তো ভালো কিছু একটা করতে পারবো। যেহেতু মিডিয়া এক প্রকার ফ্যামিলির মতো হয়ে গেছে। মোশাররফ করিম আমাকে সরাসরি অনুপ্রেরণা দেয়নি। তবে হ্যাঁ আমি মোশাররফকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি।

দু’জনেই একসঙ্গে অভিনয় করছেন, সংসার কে সামলাচ্ছে?

জুঁই করিম : আমি সবসময় অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকি না। ভালোলাগার কারণে কাজটা মাঝে মাঝে করা হয়ে থাকে। দেখা যায় মাসে হয়তো দশ দিন কাজ করি। বাকি ২০ দিন পরিবারে সময় দেই। বলতে গেলে পরিবারকে সময় দেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে আমি কাজগুলো করি।

স্বামী হিসেবে মোশাররফ করিম কেমন?

জুঁই করিম : আমি মনে করি স্বামী হিসেবে কোনও স্ত্রীর কাছে তার স্বামী পারফেক্ট থাকেনা। অনেকে লেগিংস থাকে। তবে হ্যাঁ মানুষ হিসেবে বলতে গেলে মোশাররফ করিম অসাধারণ। তার সাথে আমার সবকিছুই একটা বন্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে যায়।

নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে, তবে নিয়মিত চলচ্চিত্রে কাজ করছেন না?

জুঁই করিম : দু’টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি দু’টি ছোট চরিত্রে। তৌকির আহমেদ ভাইয়ের পরিচালনায় ‘অজ্ঞাতনামা’ এবং মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর পরিচালনায় একটি সিনেমাতে কাজ করেছি। এখন তো চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার সুযোগ কম। কারণ ভালো গল্পের ছবি কম। আর এ কারণে আমার চলচ্চিত্রে কাজ করাটা একটা সময় সাপেক্ষ। আমি চলচ্চিত্রে নিয়মিত হবো কি-না সেটাও নির্ভর করছে সময়ের ওপর। যদি ভালো গল্পের ছবি পাই তবে কাজ করবো।

অভিনয় কী শখে করা না পেশা হিসেবে করছেন?

জুঁই করিম : শুরুটা শখে করলে এখন পেশায় রুপান্তরিত হয়েছে। তাই এখন আর অভিনয়টা শখের জায়গায় নেই। যতটুকু অভিনয় করছি প্রফেশনালি করছি।

কোন চরিত্রটি করার স্বপ্ন দেখেন ?

জুঁই করিম : আসলে আমরা যাঁরা অভিনেতা অভিনেত্রী আছি তাদের কখনও স্বপ্ন পূরণ হবেনা। কারণ এক চরিত্র করার পর মনে হবে যে এইটার বাহিরে কি আছে সেটা করি। তবে সেই ভাবে চিন্তা করলে আমার ইতিহাস নির্ভর চরিত্রে  কাজ করার আগ্রহ আছে।

স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে অভিনয় করলে কোনও ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়?

জুঁই করিম : কোনও সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয় না। কারণ আমরা শটে যাওয়ার আগে রিহার্সেল করি। তখন আমরা যাঁর যাঁর চরিত্রের ভিতরে ডুকে যায়। আর অভিনয়কে গুরত্ব দিয়ে আমরা কাজ শুরু করি।

নতুন যারা অভিনয়ে আসতে চায় তাদের কি কি ধরনের গুণাবলী থাকা আবশ্যক বলে মনে করেন?

জুঁই করিম : প্রথমেই নিজের মধ্যে প্রচন্ড পেশাদারিত্বের চিন্তা ভাবনা ধারণ করতে হবে। সবার সাথে যেন হাসি মুখে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে সেটা খেয়াল করতে হবে। গল্পটাকে সঠিকভাবে বুঝতে হবে। বন্ধুত্ব শুধু নতুনদের জন্য না এটা বড় ছোট নতুন পুরাতন সকল ধরনের অভিনেতা ও অভিনেত্রীর মধ্যে থাকতে হবে। যেন তারা সবাইকে আপন করে নিতে পরে।

সংসার সামলান কীভাবে?

জুঁই করিম : আমার সংসার সামলানোর ক্ষেত্রে আমার জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বসবাস করাটা অনেক হেল্প করছে। আমার শ্বাশুড়ি ও আমার ভাতিজিরা খুব হেল্প করেন আমাকে। যে কারণে মাসের যে কয়টা দিন আমি কাজ করি সে কয়টা দিন খুব নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারি। বলতে গেলে জয়েন্ট ফ্যামিলির কারণে আমার কাজ করার জায়গাটা প্রসরিত হয়েছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা