• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

শিশুর জন্মের পর নিবন্ধন বেশি দরকার: তাজুল

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০১৯  

জন্মনিবন্ধনের গুরুত্ব তুলে ধরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার জন্মনিবন্ধন করাটাও অনেক বেশি দরকার। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। 

আজ দুপুর ১২টার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

জন্মনিবন্ধন সনদের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে। কিন্তু তা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে তাদের জন্য। কিন্তু জন্মসনদ সবার জন্যই প্রয়োজন। শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে সে কেন জন্মনিবন্ধন কার্ড পাবে না?  

তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন সনদে শিশুর যাবতীয় তথ্য সন্নিবেশিত থাকতে হবে। শিশুটির যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন সে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়ে যাবে। সে যখন চাকরির জন্য দরখাস্ত করবে, বাস বা ট্রেনের টিকিট ক্রয়ের সময় যদি জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয় তাহলে সে কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, এখন কোথায় আছে, সেটিও আমরা জানতে পারবো। সেটাও তার জন্মনিবন্ধন কার্ডে যুক্ত হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, শিশুটি বড় হলে চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা সবকিছুই জন্মনিবন্ধন সনদে যুক্ত থাকবে। সব তথ্য জন্মনিবন্ধন সনদে থাকলে যখন সে কেনাকাটা করবে, সেটা তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সেটাও আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারবো। সেটার কোনো গরমিল হলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।

জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ তারা সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। 

জন্মসনদ শিশুর অধিকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব সবার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রোববার জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস উপলক্ষে সেমিনারটির আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্টার জেনারেল কার্যালয় এবং ইউনিসেফ। 

জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস উপলক্ষে এর আগে সকাল ১০টার দিকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্টার কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। 

পরে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান এনডিসি, ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিস ভীরা মেনডনাকা, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্টার মালিক লাল বণিক। 

সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের।

 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা