• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

রামপালে তীব্র লবণাক্ততায়ও বোরোর আবাদে কৃষকের সাফল্য

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৩  

উপকূলীয় উপজেলার রামপালে তীব্র লবণাক্ততার মধ্যেও বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি ও ভালো ফলন ঘরে তুলছে কৃষকরা। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে এ এলাকার কৃষিতে পরিবর্তন আনায় বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষকতার আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করেছে।

রামপাল কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বোরো’র আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। সেটি বেড়ে ৪ হাজার ৭০১ হেক্টরে দাড়িয়েছে। তীব্র দাবদাহ, লবণাক্ততার প্রভাব ও মিষ্টি পানির অভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। কৃষকদের লবণ সহিষ্ণু জাতের উন্নত জাতের বীজ ধান, সার ও কৃষি উপকরণ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করায় কৃষি খাত বেশ ঘুরে দাড়িয়েছে।

এ বছর উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে ৫৩৫ হেক্টর, উজলকুড় ইউনিয়নে ২ হাজার ৪১২ হেক্টর, বাইনতলা ইউনিয়নে ১ হাজার ৬ হেক্টর, রামপাল সদর ইউনিয়নে ৪৮২ হেক্টর, রাজনগর ইউনিয়নে ১০৮ হেক্টর, হুড়কা ইউনিয়নে ২৮ হেক্টর, পেড়িখালী ইউনিয়নে ৪২ হেক্টর, ভোজপাতিয়া ইউনিয়নে ৯ হেক্টর, মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে ৬৭ হেক্টর ও বাঁশতলী ইউনিয়নে ১২ হেক্টর জমিসহ মোট ৭ হাজার ৭০১ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছিল। এতে প্রায় ২০ হাজার ৬৬১ মে. টান চাল উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত বছর আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর, আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমি। চাল উৎপাদন হয়েছিল ১৮ হাজার ৪৩২ টান। গত ২০২০-২১ অর্থ বছরে আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর। আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমি। আর চাল উৎপাদন হয়েছিল ১৯ হাজার ৭২২ মে. টান।

উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের কৃষক মোন্তাজ মোল্লা, সিংগড়বুনিয়া গ্রামের কৃষক বাকিবিল্লাহ ও হুড়কা ইউনিয়নের পার্থর সাথে কথা হলে তারা জানান, কৃষি অফিসের ম্যাডাম কৃষ্ণা রাণী মন্ডল আমাদের সময়মত বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ করার জন্য আমরা এবার ভালো ফসল পেয়েছি। আশা করি আগামীতেও কৃষি অফিস থেকে আমাদের মতো গরীব কৃষকদের এভাবে সার, বীজ দিলে আমরা কৃষিতে আরো ভালো ফসল ফলাতে পারবো।

রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী মন্ডল জানান, প্রতিনিয়ত জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। মাটির লবণাক্ততার পাশাপাশি বাতাসেও লবণের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ দিয়েছি। আমাদের কৃষকরা যাতে কৃষিতে আগের মত ফিরে দাড়াতে পারে, এ জন্য আমরা বাগেরহাট জেলার উপপরিচালক স্যার, মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বিকভাবে সহায়তা প্রদান করছেন। আশা করি কৃষিতে রামপালে আবারও বিপ্লব ঘটবে।

 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা