স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

বাগেরহাটের রামপালে ৯ম শ্রেণিপড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তিন যুবক ওই ছাত্রীকে একটি মৎস্যঘেরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তারা মেয়েটিকে মাহেন্দ্রযোগে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। মেয়েটি প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে ছিল।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বড় দুর্গাপুরে একটি মৎস্যঘেরের টংঘরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে অপর এক যুবক পালিয়ে গেছে। নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শনিবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নির্যাতনের শিকার ওই মেয়েটি রামপাল উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী বলে পুলিশ জানায়।

আটক দুই যুবক হলো- বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার পাড়গোবিন্দপুর গ্রামের শেখ ফরহাদ হোসেনের ছেলে শেখ রাসেল (২৬) এবং একই উপজেলার কালেখার গ্রামের আজমল হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন সজল (২৫)।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, ৯ম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী রামপালের ফয়লাহাট দরবেশ মার্কেটে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়। হঠাৎ করে মেয়েটির অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিলে সে প্রাইভেট পড়তে না গিয়ে পার্শ্ববর্তী কিসমত ঝনঝনিয়া গ্রামের মামার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়।

প্রতিমধ্যে রনসেন মোড়ে পৌঁছলে রহমত শেখ ও রাসেল শেখ নামে দুই যুবক জোরপূর্বক মেয়েটিকে একটি মোটরসাইকেলে তুলে বড় দুর্গাপুরের একটি মৎস্যঘেরের টংঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে রাকিব হোসেন সজল অপেক্ষা করছিল। এর পর ওই তিন যুবক মিলে মেয়েটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে তারা মাহেন্দ্রতে করে মেয়েটিকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় মেয়েটির মামা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওসি এস এম আশরাফুল আলম আরো জানান, স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই যুবককে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। আটকৃত দুজন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। অপরজনকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।