• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

এই নৈরাজ্য বন্ধ হবে কবে?

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৯  

গণপরিবহনের নৈরাজ্য বন্ধ হওয়াটা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ভাড়া নিয়ে বচসা, সিটিং এর নামে চিটিং, বেপরোয়াগতি, পাল্টাপাল্টি গা ঘেঁষে গাড়ি চালানোসহ এমন কোনো অনিয়ম নেই যা তারা করছে না। এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গণপরিবহনে নৈরাজ্য নতুন কোনো বিষয় নয়। ভুক্তভোগীদের এ নিয়ে দুর্ভোগের কোনো অন্ত নেই। পরিবহন সেক্টরে যতোই অনিয়ম হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। নিলেই ধর্মঘট। সবকিছু অচল। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা, ফিটনেসহীন গাড়ি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই আসে বাধা। মালিক-শ্রমিক সব এক জোট। এখানে যাত্রীস্বার্থ দেখার কেউ নেই। বাস-মালিক শ্রমিকদের কাছে সরকারও যেন অনেকটা অসহায়।

 একটি জনহিতকর সরকারের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে গণপরিবহন ব্যবস্থা ঠিক রাখা। উন্নয়ন অগ্রগতির চাকা ঠিক রাখার জন্যও এটা অত্যন্ত জরুরি। গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে-এমনটিই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের 

এ অবস্থা হতো না যদি প্যারালাল একটি গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যেত। পরিবহন সেক্টর এখন বেরকারিখাতের কাছে জিম্মি। রাষ্ট্রায়ত্ত বিআরটিসি ধুঁকছে। যে কয়টি বাস আছে অধিকাংশ লিজ দেওয়া হয়েছে। স্টাফ বাস হিসেবেই সেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। কোটি টাকার ভলভো রাস্তা থেকে উধাও হয়ে ভাঙ্গারির দোকানে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে বেসরকারি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কাছে সবাই জিম্মি।

রাজধানী ঢাকা নানা দিক থেকেই বসবাসের অনুপযোগী। গণপরিবহন সংকটের কারণেও মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। যানবাহনের কালো ধোঁয়া, হাইড্রোলিক হর্ন, বায়ূ ও শব্দ দূষণ জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। বলা হয়ে থাকে রাজধানীর পরিবহনের কোনো মৃত্যু নাই। যুগের পর যুগ চলছে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি। অনেক বার অনেক রকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি।

পরিতাপের বিষয়, এত এত অর্থের অপচয় হচ্ছে। ঋণ খেলাপি কালচারে হাজার কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির মত ঘটনায়ও হাজার কোটি টাকা কোনো বিষয়ই না-এমন কথাও উচ্চারিত হচ্ছে সরকারের দায়িত্বশীল মহল থেকেও। সেই দেশে গণপরিবহন খাত ঠিক রাখার জন্য ভর্তুকি দিয়ে হলেও কেন বিআরটিসি কিংবা এর মত বাস সার্ভিস চালু রাখা যায় না সেটা বোধগম্য নয়। একটি জনহিতকর সরকারের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে গণপরিবহন ব্যবস্থা ঠিক রাখা। উন্নয়ন অগ্রগতির চাকা ঠিক রাখার জন্যও এটা অত্যন্ত জরুরি। গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে-এমনটিই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা