• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

জীবন এত তুচ্ছ কেন?

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৯  

জীবন এত তুচ্ছ! খোদ রাজধানীতে তুচ্ছ কারণে এক তরুণকে হত্যা করা হয়েছে। রাজধানীতে একদিনের ব্যবধানে চার জন হত্যকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। প্রেমিকার সঙ্গে রায়েরবাজার ব্রিজের ঢালে কথা বলছিলেন বন্ধু আরিফুল ইসলাম সজল (১৯)। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই কিশোর তাকে ও তার প্রেমিকাকে উত্ত্যক্ত করছিল। প্রেমিকাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় প্রতিবাদ করে সজল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে চড়-থাপ্পড় দেয় বখাটে কিশোর। কিছুক্ষণ পর সজল তার বন্ধুদের ডেকে আনলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরই ওই কিশোর তার বখাটে বন্ধুদের এনে বাঁশ ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে সজলকে। খোদ রাজধানীতে যদি এ ধরনের হত্যার ঘটনা ঘটে সেটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ধরনের হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের শাস্তির অ।ওতায় নিয়ে আসতে হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় সজলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে তার প্রেমিকা ও স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ৯টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সজলের প্রেমিকা সানজিদা আক্তার দোলন সাংবাদিকদের জানান, সজলের সাথে তার ৩ মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক। ওই দিন সন্ধ্যায় সজল তার সাথে দেখা করতে রায়েরবাজার ব্রিজের ঢালে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় কয়েকজন কিশোর তাকে উত্ত্যক্ত করে।

 অপরাধ করলে অপরাধীকে ধরে আইনের কাছে সোপর্দ করা যেমন পুলিশের কাজ। তেমনি সমাজে যেন অপরাধ সংঘটিত হতে না পারে বিশেষ করে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা না ঘটে সেজন্য একটি বাতাবরণ তৈরি করাও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। আমরা আশা করবো তদন্ত করে পুলিশ অপরাধীদের আইনের হাতে সোপর্দ করতে সক্ষম হবে। অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও অপরাধ কমাতে সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। 

সজল এর প্রতিবাদ করায় ওই কিশোরদের মধ্যে একজন সজলকে চড় মারে। এ ঘটনার পর সজল তার কয়েকজন বন্ধুকে ফোন দিয়ে ডেকে আনলে ওই কিশোরদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে আবার ওই কিশোররা দলবলে এসে সজলকে বাঁশ দিয়ে পেটায়। একপর্যায়ে তারা সজলকে ছুরিকাঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতা। মানুষ ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠছে। ঘটাচ্ছে হত্যার মতো নৃশংস ও অমানবিক ঘটনা। সমাজে অপরাধ থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু সেই অপরাধ দূর করার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা দুই-ই বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে পুলিশের প্রতি মানুষের প্রত্যাশাও। অপরাধ করলে অপরাধীকে ধরে আইনের কাছে সোপর্দ করা যেমন পুলিশের কাজ। তেমনি সমাজে যেন অপরাধ সংঘটিত হতে না পারে বিশেষ করে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা না ঘটে সেজন্য একটি বাতাবরণ তৈরি করাও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। আমরা আশা করবো তদন্ত করে পুলিশ অপরাধীদের আইনের হাতে সোপর্দ করতে সক্ষম হবে। অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও অপরাধ কমাতে সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা