• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

অশ্বিন মানকাড বিতর্ক, সমাধান দিল এমসিসি

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০১৯  

এক ঘটনায় ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলারকে মানকাড রানআউট করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

তাতে শামিল হচ্ছেন ক্রিকেটের সাবেক-বর্তমান রথী-মহারথীরা। ইতিমধ্যে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ওটা আউট দেয়া আম্পায়ারের উচিত হয়নি। মুখ খুলেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষও। তারা অবশ্য স্পষ্ট অবস্থান জানায়নি।

অবশেষে বিবৃতি দিল ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। তবে তাতে সমাধান মেলেনি!

নিয়ম আছে, ওই ভাবে ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারবেন বোলার। তবে প্রশ্ন উঠেছে অশ্বিনের আউটের বৈধতা নিয়ে। কারণ, তিনি নিজের স্বাভাবিক অ্যাকশনে বল করেননি। ওই বলের সময় বোলার যখন বল ছোড়ার ভঙ্গি করেন, তখন পর্যন্ত ক্রিজে ব্যাট ছিল ব্যাটসম্যানের। অশ্বিন নিজের স্বাভাবিক গতি চেপে অপেক্ষা করেছেন কখন বাটলার দাগ পার হবেন। এরপরই স্টাম্প ভেঙেছেন।

এ ব্যাপারে গৎবাঁধা নিয়মের উল্লেখ করেছে এমসিসি, এ আইন খুব জরুরি। এটি ছাড়া নন-স্ট্রাইক প্রান্তের ব্যাটসম্যান স্বাধীনতা পেয়ে যাবেন। পিচে অনেক দূর এগিয়ে থাকবেন। মূল বিষয় হলো সেই ব্যাটসম্যান কখন ক্রিজ ছাড়তে পারবেন এবং বোলার আউট করতে পারবেন। মোদ্দা কথা, এ আইনে কখনো বলা হয়নি নন-স্ট্রাইকারকে সতর্ক করতে হবে। এও বলা হয়নি, নন-স্ট্রাইক প্রান্তের ব্যাটার ক্রিজ ছেড়ে আগে বের হয়ে সুবিধা নিতে চাইলে তাকে আউট করা ক্রিকেটীয় চেতনাবিরোধী।

সমালোচকরা অবশ্য চেতনার দিকে কম যাচ্ছেন। তাদের মতে, অশ্বিনের আউটে অস্বাভাবিকতা আছে। তার অ্যাকশন ও শরীরী ভাষা দেখে বোঝা গেছে ওই বল করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। ক্রিকেটের আইনের ৪১.১৬ ধারা বিশ্লেষণ করে এমসিসি বলছে, সেটা আউট ছিল কি না অশ্বিনের শরীরী ভাষা দেখেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হতো আম্পায়ারদের।

মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের ভাষ্য, অনেকে মনে করছেন অ্যাকশনে দেরি করেছেন অশ্বিন। যেন বাটলার ক্রিজ ছেড়ে যান। কেউ বলছেন, অশ্বিন বল যখন ছাড়ার কথা তখন বাটলার ক্রিজেই ছিলেন। সেটা যদি ইচ্ছাকৃত হয়, তবে এটা অবৈধ এবং ক্রিকেটীয় চেতনাবিরোধী। টিভি আম্পায়ারেরই সিদ্ধান্ত নিতে হতো আইন অনুযায়ী এটা গ্রহণযোগ্য আউট কি না। বৈধ ও ক্রিকেটীয় চেতনার বিষয়টি উভয়ের ওপরই নির্ভর করছে। নন-স্ট্রাইকারকে সাবধান হতে হবে। বোলারকেও সময় মেনে রানআউট করতে হবে।

এমসিসির বিবৃতিতে স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে, এ আউট নিয়ে সমাধান টানতে পারেনি। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে-বিষয়টা খোলাসা না হয়ে আরও দুষ্কর হয়ে গেলো।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা